রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

নিত্যপণ্যের মূল্য ও ক্রেতা

নিত্যপণ্যের মূল্য ও ক্রেতা

সারওয়ার মো: সাইফুল্লাহ খালেদ:

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটা বৈশিষ্ট্য হলো তারা না পারেন অভাব-অনটন সইতে, না পারেন গলা উঁচিয়ে তা জাহির করতে। কারণ তারা মানসম্মানের ব্যাপারে খুব সচেতন। অভাব-অনটন ব্যাপারটা মুখ বুজে সহ্য করেন, তবু কারো কাছে হাত পাততে পারেন না। আর বিত্তবান কিংবা বিত্তহীনদের মতো অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে যেনতেন কাজও করতে পারেন না। ব্যাপারটা এরকম, ‘করিতে পারি না কাজ/সদা ভয় সদা লাজ/পাছে লোকে কিছু বলে’। এরকম একটি মনস্তাত্ত্বিক নৈতিকতাবোধ মধ্যবিত্তের মননে কাজ করে থাকে। এ আত্মসম্মানবোধ মধ্যবিত্তকে আত্মসংযম শিখিয়েছে, তেমনি বিপদেও ফেলেছে। এ কথা তারা নিজ শ্রেণীর লোকজনের মধ্যেও আলোচনা করতে বিব্রত বোধ করেন। কারণ সবার মানসিকতা অভিন্ন নয়।

টেলিভিশনের কল্যাণে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। নিত্যপণ্যের বাজারে কিছু মধ্যবিত্ত ক্রেতাকে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে এই মর্মে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়, ‘নিত্যপণ্যের বাজার এমন চড়া হলে, আমরা সীমিত আয়ের লোকেরা চলি কী করে? বাজার মনিটরিং করা দরকার।’ মনিটরিং যারা করেন তারা সরকারের সুবিধাভোগী লোক; এদের কোনো অভাব অনটন নেই। এ কারণে এটা যেমন নিয়মিত হয় না, তেমনি এতে তেমন কোনো কাজও হয় না। অন্য দিকে বিক্রেতারা সাধারণত বেপরোয়া। যেনতেন একটা অজুহাত দেখিয়ে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেন। নিত্যপণ্যের দামের চাপে চিঁড়ে-চ্যাপটা হওয়া এবং দিন আনা দিন খেটেখাওয়া মানুষের দুর্ভোগের কথা সবার জানা। প্রতিবাদে কিছু শৌখিন সমাজকর্মী মিডিয়াতে ক’দিন উচ্চবাচ্য করেই চুপচাপ। নিত্যপণ্যের মূল্য দেশের কর্ণধার রাজনীতিকদের মতো তাদের গায়েও যেন আঁচ কাটে না। অথচ নিত্যপণ্য ন্যায্যমূল্যে পাওয়া মৌলিক দাবি।

দুনিয়ার সর্বত্রই মধ্যবিত্ত শ্রেণী সমাজে সৃজনশীল ভূমিকা পালন করে থাকে। তারা কেউ লেখক, কেউ শিল্পী, কেউ বা শিক্ষক, কেউ সাংবাদিক ইত্যাদি পেশার লোক। প্রায়ই শোনা ও দেখা যায়, অভাব অনটন এদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। তা না পারেন কইতে, না পারেন সইতে। আবার কেউ কেউ আছেন, যাদের সংখ্যা নিতান্তই কম হলেও যে করেই হোক সচ্ছল জীবনযাপন করেন। সে যা হোক, নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও তাদের সৃজনশীল জীবন এগিয়ে যায়, এমনকি কেউ পেশা পরিবর্তন করে ফেলেন। মোটকথা, অভাব অনটনে সৃজনশীল জীবন ব্যাহত হয়। আর সাধারণ সৎ মধ্যবিত্তকে তো নিম্নমানের জীবন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। নিত্যপণ্যের মূল্যের কশাঘাতে বিপর্যস্ত মধ্যবিত্তের সৃজনশীল সাধনা সম্পর্কে এক সহকর্মীর মন্তব্যের কথা মনে পড়ে গেল।

সত্তর দশকের শেষার্ধ থেকে আশি দশকের প্রথম ক’মাস, ঢাকায় তিতুমীর কলেজে শিক্ষকতা করছিলাম। সে সময় বেশ কিছু প্রতিভাবান শিক্ষক ছিলেন। তাদেরই একজন ইংরেজি বিভাগের শামসুল হক। তার স্ত্রী সরকারি কলেজে ইতিহাসের শিক্ষক। থাকতেন বনানীর সরকারি বাড়িতে। একদিন ক্লাস থেকে এসে স্টাফ রুমে বসে আছি পরবর্তী ক্লাসের অপেক্ষায়। দীর্ঘকায়, শ্যামবর্ণের আধাপাকা ঘন কোঁকড়া চুল মাথায় একহারা গড়নের সে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক লম্বা পা ফেলে আমার দিকে এগিয়ে এলেন। হাতে হার্ডবোর্ডে বাঁধাই করা একটি বই। পাশে দাঁড়িয়ে বইটি খুলে আমাকে দেখালেন। না, কোনো ছাপা বই নয়। টাইপ রাইটারে টাইপ করে বাঁধাই করা পরিমিত সাইজের একটি বই। বললেন- ‘সর্বক্ষণ পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন, চাল, ডাল, নুন, তেলের দাম নিয়ে মাথা ঘামাতেই আমাদের সময় চলে যায়। কোনো কিছু লেখার বা উচ্চ চিন্তা, উচ্চ ভাব মাথায় ঢোকার সুযোগ কোথায়? এরই মধ্যে এটি টাইপরাইটারে লিখে বাঁধাই করেছি। দেখুন।’ বইটি হাতে নিলাম। ইংরেজিতেই লিখেছেন। বললেন- ‘ভাবছি চেষ্টা চালিয়ে যাবো। শুরু করেছি।’ এর কিছু দিন পর ঢাকা কলেজে চলে এসেছি। তার সাথে আর দেখা হয়নি। বই তিনি ছেপেছেন কি না, জানি না।

মাক্সিম গোর্কির প্রথম জীবন দারিদ্র্যক্লিষ্ট ছিল। তেমনি বিজ্ঞানী আলভা এডিসনের; তেমনি মধুসূদন দত্তের শেষ জীবন। এমন আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যায়। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সারাটা জীবনই তেমন ছিল। পরাধীন ভারতে ‘আমার কৈফিয়ত’ কবিতায় চির দুঃখী নজরুল লিখেছেন ‘বড় কথা বড় ভাব আসেনাক’ মাথায়, বন্ধু, বড় দুঃখে,/অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছ সুখে’। দেশ ও সমাজের পরিবেশ পরিস্থিতিও মানুষের চিন্তাজগতে প্রভাব ফেলে। প্রজার খাজনাভোগী জমিদার রবিঠাকুর অমরত্বের অভিলাষে অনেক লিখেছেন। দুঃখ-দৈন্যে জীবন নিয়ত টেনে চলা অমর নজরুল তত লিখতে পারেননি। তবে তার জীবন ও লেখা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে গেছে। ব্রিটিশরাজ মহৎ নজরুলকে সর্বক্ষণ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মাথা ঘামিয়ে আমাদের মতো জীবন পার করাতে বাধ্য করতে পারেনি। তিনি লিখেই গেছেন। অন্যায় শাসনের প্রতিবাদ করেছেন।

সেই ব্রিটিশ ভারতেরই আরেক বিখ্যাত লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক পত্রে লিখেছিলেন ‘বেগুনের দাম এক পয়সা বাড়িল। লোকে বাঁচিবে কেমন করিয়া’? নিত্যপণ্যের দামের সাথে মানুষের জীবন মরণের সম্পর্ক। এ কথাটি বিভূতিভূষণ উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। আজ স্বাধীন বাংলাদেশে পেঁয়াজের কেজি দুই শ’ টাকার ঊর্ধ্বে উঠেছে। অপরাপর নিত্যপণ্যের দামও এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, ‘সর্বক্ষণ পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন, চাল, ডাল, নুন, তেলের দাম নিয়ে মাথা ঘামাতেই আমাদের সময় যায়।’ রাষ্ট্রের ভালোমন্দ দিক নিয়ে জনসাধারণের ভাববার সময় ও সুযোগ কোথায়? নিজের জৈবিক অস্তিত্ব রক্ষায় লোকজন এতটাই ব্যস্ত যে, ক্ষেত্রবিশেষে আয় উপার্জনের ভালোমন্দ দিক বিবেচনা করার নৈতিক মূল্যবোধও লোপ পেতে বসেছে। সমাজের উচ্চপর্যায়ে এমন একটি অবস্থা বিরাজমান যে, তা প্রাচীন রোমান এবং পারস্য সাম্রাজ্যের ‘অভিজাত’ শ্রেণীর ধন-ঐশ্বর্য আহরণের দুর্মর প্রতিযোগিতার কথা মনে করিয়ে দেয়। এতে নানা প্রকার দুর্নীতি সমাজের তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। দুর্নীতিবাজরা দৃশ্যত তারা সুখে আছে।

এই প্রক্রিয়ায় স্বাধীন দেশে ব্রিটিশরাজের মতো লুটপাটের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। তাই সমাজের বিশেষ শ্রেণীর কাছে নিত্যপণ্যের দাম যা হোক, তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। এ নিয়ে ‘মাথা ঘামাতে’ হয় না বলে কেবলই এই চিন্তায় তাদের ‘সময় যায়’ না। এরা নিশ্চিন্তে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ান। এদের অনেকে নিত্যপণ্য যেমন পেঁয়াজ, বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস ইত্যাদির দাম ও দুর্নীতি নিয়ে সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে সময় কাটান। এ এক মজার খেলা। যেন এরা ধোয়া তুলসী পাতা এবং সর্বান্তকরণে জনদরদি। এদের উদ্দেশ করেই হয়তো লোক-গায়করা গেয়েছেন ‘ও আমার দরদি, আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় চড়তাম না।’

ভাঙা নৌকার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে সাধারণ মানুষ পান করতে পারে না বা জানে না বলেই তাদের এই আক্ষেপ। যারা পারে তারা অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো ট্রাকভর্তি, গুদামভর্তি, দোকানভর্তি বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ সাজিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে মুনাফা লুটে কোটি কোটি টাকা। এই তো সেদিন (০৪ নভেম্বর ২০১৯) নয়া দিগন্তে দেখলাম পেঁয়াজের এ দুর্মূল্যের দিনেও ‘চার মাসে ৩২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পেঁয়াজ সিন্ডিকেট’। সাধারণের কাছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, কাঁচামরিচের ঝাল যত বাড়ে, তাদের তত মজা। তাই সাধারণের “বড় কথা বড় ভাব আসেনাক’ মাথায়, বন্ধু, বড় দুঃখে।” পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণকে বিপাকে ফেলে জনগণের চিন্তাচেতনা ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ পর্যায়ে ঠেকিয়ে এরা মজা লোটে। একেই বলে ফাঁদ পেতে বক শিকার করা।

জনহিতার্থেই মানুষ দলবেঁধে রাজনীতি করে। এর অন্যথা হলে, রাজনীতিকরা স্বার্থপর বলে অভিযুক্ত হন। তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতির ক্ষেত্রেও সরকার তার, বিরোধীদের এমন পর্যায়ে নিয়ে ঠেকাতে পারে যে, জনহিতের কথা ভুলে ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ চিৎকারের ঘেরাটোপের মধ্যেই তাদের সব কর্মকাণ্ড আটকে যায়। সরকারবিরোধী রাজনীতিকরা তখন দেশের কথা ভুলে নিজেদের অস্তিত্বের কথাই বেশি ভাবতে বাধ্য হন। আমাদের দেশের সরকার বিরোধী দলগুলোকে সেই পর্যায়েই নিয়ে যেতে পেরেছে। উদাহরণস্বরূপ নিকটাতীতের ১/১১-এর সরকারের এবং বর্তমান সরকারের আচরণের উল্লেখ করা যায়। ১/১১-এর সরকার দেশের বৃহৎ দুই দল আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দুই শীর্ষ নেতাকেই শুধু জেলে পোরেনি, একই সাথে এই দুই দলের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও সত্য-মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের দেশসেবার ‘নাম ভুলিয়ে দিয়েছিল’। উভয় দলই তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ে ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ চিৎকারে- জেল থেকে কিভাবে মুক্ত হওয়া যায় সেই ভাবনায়।

এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শুধু নিজেদের মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নিলো। অবশ্য দাবি করছেন আইনগতভাবে এসব মামলা মোকাবেলা করেই তারা নিস্তার পেয়েছেন। অন্য দিকে প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলাগুলো শুধু যে বহাল রইল তাই নয়, বরং আরো অনেক মামলা দিয়ে তাদের নাস্তানাবুদ করে দেশসেবার নাম প্রায় ভুলিয়ে দিছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এর উল্টোটা হতে পারত। এখন বিএনপির মূল দাবি, তাদের দলনেত্রীর কারামুক্তি- মৌলিক দাবি। ক্ষমতাসীনরা যে দেশ লুট করছেন, সেটাও তর্কের খাতিরে বিরোধীরা বলে থাকেন। তবে আপাতত সেটা অভিযোগের পর্যায়েই আছে। এর বেশি কিছু তাদের করার নেই। ব্রিটিশ ভারত ও পকিস্তান আমলেও স্বাধীনতাকামী প্রতিবাদী নেতাদের প্রতি সরকারের এমন হীন মনোবৃত্তি ছিল না। সেসব আমলে কারাবন্দী বিরোধী নেতারা রাজবন্দী বলে বিবেচিত হতেন। এভাবেই তাদের কারাবন্দী করা হতো; পরে ছেড়েও দেয়া হতো। এখন বিরোধীদের কারাবন্দী করা হয় ভিন্ন কৌশলে- নিছক ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে। বিষয়টা সাজানো-বানানোই হোক বা প্রকৃতার্থেই হোক, এসব তাই এখন জটিল আকার ধারণ করেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির ব্যাপারে সরকার আদালতের ওপর দায় চাপিয়ে নিজে সাফ হতে চায়।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে এ নিবন্ধটি শুরু করেছিলাম, তবুও রাজনীতির অবতারণা করলাম কেন, তা বলি। মানুষ যত মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই কাজে নামুক না কেন, পথের কাঁটা এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে যে, তখন ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতার মতো বলতে বাধ্য হয় ‘হাজার কবিতা/বেকার সবই তা/তার কথা/কেউ বলে না’। আমার সে সহকর্মী শামসুল হকের কথাই হোক, দেশপ্রেমী নেতাদের কথাই হোক বা নচিকেতার প্রেয়সী নীলাঞ্জনার কথাই হোক। সঙ্কট বা ‘অভাব এসে যখন দুয়ারে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়’। পেঁয়াজের ঝাঁজ চোখে পানি আনে, তেমনি অভাব অনটন বা সঙ্কটের বেদনার ঝাঁজও চোখে পানি আনে।

এককালে মানুষ আল্লাহ তায়ালার কাছে বিচার চাইত এবং সে বিচারালয়ে বাদি-বিবাদি উভয়েই ভীতসন্ত্রস্ত থাকত। এখন আর সেটা নেই। আজ মানুষের ধর্মবিশ্বাসে ভাটা পড়েছে। বিচারের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নিষ্ফল চেঁচামেচি করা হয়। সরকার বড় বড় কাজ নিয়ে এমনই ব্যস্ত যে, নিত্যপণ্যের বাজার দরের মতো ‘তুচ্ছ’ ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় বোধোদয় তাদের হয় না। নিত্যপণ্য মূল্যের কশাঘাতে যারা নাজেহাল, তাদের ‘ভোটের বালাই’ ছাড়াই সরকার ক্ষমতায় যেতে এবং পুরো মেয়াদ টিকতে পারে। অহেতুক তাদের কথা ভেবে দেখার ঠেকাটাইবা সরকারের কোথায়! যেমন চলার তেমনি চলুক!

লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ভাইস প্রিন্সিপাল, কুমিল্লা মহিলা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877